আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা
শিক্ষকদের কাজ হওয়া উচিৎ শিক্ষার্থীদের মাঝে জানার আগ্রহ সৃষ্টি করা
অথচ আমাদের দেশের শিক্ষকদের কাজ শিক্ষার্থীদের এ+ পাওয়ানো ।
এতে শিক্ষার্থীদের আত্মার মৃত্যু হলেও কারো কিছু যায় আসেনা ।
প্রতিভা বিকাশের জন্য চিন্তা করা প্রয়োজন
কিন্তু আমাদের দেশের শহুরে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত নাওয়া-খাওারই সময় পায়না
তাহলে তারা চিন্তা করবে কখন ?
আর যারা শিক্ষাবিদ আমাদের দেশে
তারা চিন্তা করে আর কত বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দিলে একজন শিক্ষার্থী সব পারবে
এমনকি সোনার হরিণ গোল্ডেন + ও , এতে মৃত্যু হোক লাখো প্রতিভা ধ্বংস হোক
কোটি আত্মার মৃত্যু হোক তাতে কারো কিছু যায় আসেনা কারন এ+ এর সংখ্যা তো বাড়ছেই !
বাংলাদেশের পিতা-মাতাগণ তাদের বাচ্চা জন্মানো শেষ হলে একটা স্কুলে তাদের ফেলে রেখে আসার জন্যে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাচ্চা স্কুলে ফেলে আসলে সাত রকমের সুবিধে আছে যে! বাসায় বাচ্চা থাকলে হয়তোবা বেড়ালটা তাড়িয়ে বেড়াবে, ফুল গাছটা উপড়ে ফেলবে, পাশের বাসার মালাকে চড় মারবে, মায়ের চুল ধরে টানাটানি করবে, রেডিওটা খুলে নষ্ট করবে, টিভিতে কার্টুন দেখে দেখে সময় নষ্ট করবে, ঘরে ধুলো নিয়ে আসবে, উঠানে হয়তো বাজার বসাবে, বাবার পকেটটা হয়তো খালি করবে - আর কীজানি, বিজ্ঞানী টিজ্ঞানী হয়ে যাবে হয়তো! এদেশের পিতা-মাতাগণ তাদের ছেলেমেয়ের বিচার-বুদ্ধি-জ্ঞানকে ভয় করে। তাই তাদের প্রধান কাজ হলো, ওসব জ্ঞানী মস্তিষ্ক অসাড় বানানো। তাইতো তাদের সহায়তায় দেশে লাখো বিদ্যালয়!
স্কুলের শিক্ষার বিষয়টা হলো মাথায় বাজ পড়ার মতো। হঠাৎ করেই শিক্ষা শুরু, একেবারে আমাবশ্যায় চাঁদ! মোটা মোটা বই দিয়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতাকে ঘাঁড় মটকে চুষে চুষে খাওয়া হয়। কেউ অস্বীকৃতি জানালে চড়-থাপ্পর-বেতের বাড়ি তো আছেই। ছোট বাচ্চাদের মারার মাঝে যে পৈশাচিক আনন্দ তা বাংলাদেশের বাবা-মা’র চাইতে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেশি জানেন। পাশের বাড়ির বেড়ালটার সাথে খেলতে না দিয়ে বেড়ালকে নিয়ে লেখা কবিতা গেলানো হয়, সখের নানা বাড়ি যেতে না দিয়ে তার রচনা শিখতে বলা হয়, সারাদিন ঘুড়ে বেড়াতে না দিয়ে লেখকদের ঘুড়ে বেড়ানোর কাহিনী পড়ানো হয়। তার বয়স, প্রকৃতি কোন বিষয়-ই না! আর তার যে কোন ইচ্ছে শক্তি আছে তা তো কারো বিশ্বাস হওয়ার কথাই নয়।
এইভাবে অসাড় বানানো প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে বিশ্ববিদ্যালয় অবধি। এখানে এসে কেউ কেউ বুঝতে পারে যে তাদের মূল্যবান শৈশব-কৈশরকে উপরযুপরি ধর্ষণ করা হয়েছে বছরের পর বছর। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ-ই এই বিষয়টি অনুধাবন করতে পারেনা।
নিজের ইচ্ছা কে বিসর্জন দেওয়ার শিক্ষা আর না |
যে আমি যা হতে চেয়েছিলাম তা হতে পারিনি শুধুমাত্র একটি সিস্টেমের মধ্যে পড়ে থাকার কারনে ।
আর আপনার সন্তানেরা যা হতে চাবে তা হতে পারবেনা এই বস্তাপচা নিয়মের মধ্যে থাকার কারনে ?
আসুন তাদের জানাই চাপিয়ে দেওয়া বইয়ের ওজন টানতে টানতে আমরা নিয়ম ভাঙতে ভুলে যাইনি , কাল যেন আরেকটি শিশু আত্মার মৃত্যু না হয় তার জন্য আমরা একত্রিত হই
- নিজের ইচ্ছা কে বিসর্জন দেওয়ার শিক্ষা আর না
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন