পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ডেটা অ্যানালিটিক্সের যুগে টেক স্টার্টআপগুলোর ভুল

বেশিরভাগ টেক স্টার্টআপই ব্যবসা শুরু করতে ডেটা অ্যানালিটিক্সকে দেখে অনেকটা রকেট লঞ্চের মত।  অ্যানালিটিক্স এর উপর এতই ভরসা থাকে যে, পাই টু পাই হিসাব করে তারা মার্কেটে নিজেদের অবস্থান গড়তে চায়। হয়ত তার যথেষ্ট যুক্তিগত কারণও রয়েছে তাদের কাছে। ফলে মার্কেটে আসার পর ফলাফলটিও হয় রকেট লঞ্চের মতই। রকেট লঞ্চ করার সময় যদি সামান্য .০০০০১ ভাগ কোন কিছুতে উলট পালট হয় তাহলে মুহূর্তেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তেমনি ডেটার উপর চুলচেরা বিশ্লেষণ করে মার্কেটে নামা স্টার্টআপগুলো মার্কেটের সামান্য পরিবর্তন হলে কিংবা  অ্যানালিটিক্সের ডেটায় সামান্য পরিমাণ ক্রুটি থাকলেই ভেঙে পড়ে তাসের ঘরের মত।   ডেটা অ্যানালিটিক্সেকে রকেট লঞ্চের চোখে না দেখে আমরা যদি এটাকে একটা গাড়ির চালানোর মত করে মনে করি তাহলেই  ডেটা অ্যানালিটিক্সেকে আর বেশি কার্যকরী করা সম্ভব। ধরুন আপনি মতিঝিল থেকে শাহবাগ যাচ্ছেন গাড়ি চালিয়ে, যাওয়ার সময় রাস্তা অনুযায়ী আপনার গাড়িতে থাকা স্টিয়ারিং হুইল দিয়ে রাস্তার সাথে নিজের গাড়িকে মানিয়ে নিচ্ছেন। হটাৎ করে থামতে হলে ব্রেক চাপছেন। ঠিক তেমনি গাড়িকে আপনার স্টার্টআপ, আপনার ম্যানেজমেন্টকে স্টিয়ারিং হুইল এবং আপনার চ

ইভ্যালির নতুন চমক, সাইক্লোন বুড়ি

 সে অনেক দিন আগের কথা। এক জঙ্গলে এক বুড়িমা বাস করত। প্রতিদিন রান্নার সময় আগুন জ্বালানোটা তার জন্য কঠিন হয়ে যেতো। কারণ তখনতো আর ম্যাচের কাঠি ছিল না। পাথর ঘষে ঘষে আগুন জ্বালাতে হতো। একদিন আকাশ কালো করে সাইক্লোন শুরু হলো। সাইক্লোনে সব ভিজে নেয়ে একাকার। বুড়ি রান্নার জন্য পাথর ঘষছে, অমনি পাথর থেকে ধোয়া বেরোতে থাকল। হাজির হলো মস্ত এক জ্বীন। আসলে ওটা পাথর ছিল না। ওটা ছিল ইভ্যালি নামক চেরাগ। জ্বীন হু হা হা করে হেসে বলল, আমি এই চেরাগের জ্বীন রাসেল। বুড়ি মা তোর কি লাগবে বল। বুড়ি বলল, প্রতিদিন  আমার আগুন জ্বালাতে অনেক কষ্ট হয়। কিছু একটা ব্যবস্থা যদি করা যায়। জ্বীন হাসতে হাসতে বলল, এটা আমর জন্য কোন ঘটনা-ই না। আমি তোমার জন্য ওভেনের ব্যবস্থা করছি। তবে দিনকালতো আর আগের মতো নেই। কিছু একটা আনতে গেলে সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হয়, আরো কত খরচ, দুনিয়ার ঝামেলা। তোমাকেতো পে করতে হবে। বুড়ি অমনি কাপড়ের আঁচল থেকে যা ছিল সব দিয়ে দিল। জ্বীন ওভেন আনতে চলে গেলো। দিন যায়, মাস যায়, জ্বীন আর আসে না। এদিকে বুড়ি অপেক্ষা করতে করতে বুড়ি থেকে বুড়ি প্রো হয়ে যাচ্ছে। বুড়ি, পাতার মধ্যে অর্ডার নাম্বার লিখে চেরাগের ভেতর ফেলে দি

দারাজের সেলারদের ভবিষ্যৎ কি ভেজানো বিস্কিট?

দারাজের এক ঝাঁক সৎ মেধাবী তরুণ আত্মপ্রত্যয়ী প্রতিশ্রুতিশীল সেলারদের বর্তমান অবস্থা ঠিক এই বিস্কিটের মতো চায়ের কাপে অপ্রত্যাশিত ভেঙে পড়া। এর কারণ অতিরিক্ত বিশ্বাস ও নির্ভরশীলতা। এই বিশ্বাস আর নির্ভরশীলতার প্রতিদান স্বরূপ দিনের পর দিন দারাজ  তৈরি করেছে সেলারদের স্বার্থ ধ্বংসের যত কালা-কানুন। দারাজ এর ভিতর গড়ে উঠেছে সেলারদের পণ্য চুরি করার নজিরবিহীন শক্তিশালী চোর সিন্ডিকেট। বর্তমানে দারাজে ব্যবসার চেয়ে দারাজ প্রদত্ত কালাকানুনের হয়রানি আর পণ্য চুরি (ভুয়া রিটার্ন, পেনাল্টি, প্রডাক্ট চুরি, যখন-তখন স্টক করা প্রোডাক্ট বন্ধ করে দেয়া, প্রডাক্ট স্ক্র্যাপ) মহামারি আকার ধারণ করেছে, যা সবাই অবগত আছেন।দারাজের ওপর এই নির্ভরশীলতার কারণ কি ব্যবসা? দারাজের একজন ভুক্তভোগী সেলার হিসাবে আপনার দারাজের অর্ডার, দারাজের ব্যবসায় লাভ, দারাজের ব্যবসায় গ্রোথ, দারাজের ব্যবসায় আপনার মূলধন এর সর্বশেষ অবস্থা, একজন অনলাইন সেলার (দারাজ সেলার নয়) এর সাথে একটু তুলনা করবেন। তাহলে আপনি দারাজ ভিত্তিক ব্যবসার ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে পারবেন।  বি দ্র: তবে আশার কথা হচ্ছে, দেরিতে হলেও এইসব ভুক্তভোগীরা এখন বিকল্প চিন্তা কর

সড়ক উন্নয়নের অভিনব এবং কার্যকরী পদ্ধতি

বাংলাদেশের কর্পোরেট হাউজগুলোর একটা করে সড়কের দায়িত্ব নেয়া উচিত। যেমন ধরুন বসুন্ধরা আবাসিক এরিয়ায় ঢোকার মূল সড়কটির দায়িত্ব গ্রামীণফোন নিতে পারে। রোডের নাম হবে জিপি রোড। বসুন্ধরা কতৃপক্ষের নিকট থেকে সড়কটি ৫-১০ বছরের জন্য লিজ নিতে পারে গ্রামীনফোন। লিজকৃত সময়ে পুরো সড়কের মেরামত, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ফুটপাত নির্মাণসহ সামগ্রিক উন্নয়নের বিষয়ে দেখভাল করবে গ্রামীণফোন। বিনিময়ে গ্রামীণফোনের সকল প্রোমোশনাল বা বিজ্ঞাপন এক্টিভিটি থাকবে পুরো সড়ক জুড়ে। সড়ক পথে চলাচলকারী সকল পথচারীরাও আপডেটেড থাকবে জিপির প্রোমশনাল মেসেজ সম্পর্কে। একইরকমভাবে বসুন্ধরা আই ব্লকের সড়কের নাম হতে পারে ওয়াল্টনরোড, গুলশান শুটিং ক্লাব থেকে গুলশান ১ নম্বর পর্যন্ত সড়কের দায়িত্ব নিতে পারে বাংলালিংক। নাম হতে পারে বাংলালিংক রোড বা বিএল রোড। গুলশান ১ হতে ২ নম্বর পর্যন্ত সড়কের নাম হতে পারে রবিরোড। এভাবে কর্পোরেট হাউজগুলো পুরো ঢাকা শহরের সড়কগুলোর দায়িত্ব নিলে সড়ক ও জনপথের ঝক্কিঝামেলা খুব সহজেই দূর হবে বলে মনে হয়।। পাশাপাশি সড়কজুড়ে বিজ্ঞাপন দেয়াটাও খুলে দিতে পারে বিজ্ঞাপনের নতুন মাত্রা।।  #আমারঢাকা #আমারশহর #পরিষ্কারনগরী #সড়কবিজ্ঞাপন লি