অভ্র , ভাষা হোক উন্মুক্ত ( মেহেদী ভাইয়ের একুশে পদক প্রদানে জোর দাবি )

চিনেন নাকি উনাকে ?
চিনলেন না তো , না চেনারই কথা ।
যারা কাজে বড় হয় তাদেরকে কম মানুষই চিনে , ছবির এই মানুষটির নাম মেহদী হাসান খান।
মেহেদি হাসান খান 

 শিক্ষা জীবনের শুরু হয় আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ঢাকায়। নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে।
ডাক্তারি পড়তে পড়তে মোটামোটি একটা নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেন। তৈরি করেন "অভ্র" নামে ফনোটিক বাংলা লেখার মুক্ত ও বিনামূল্যের সফটওয়্যার।

মেহদী হাসান খান এর ব্যাপারে উনার এক বন্ধু লিখেছিলেন,
"একজন মানুষ একটা সফটওয়্যার তৈরীর জন্য কি পরিমাণ পরিশ্রম করতে পারে (এবং যাতে কোন বৈষয়িক লাভ জড়িত নয়) তা মেহদীকে না দেখলে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না। রাতের পর রাত জেগে অভ্র নিয়ে কাজ করেছে। পড়াশুনা করেছে। খুব কাছের মানুষগুলোর ফোন পর্যন্ত ধরে নি এই সময়ে। সমস্ত ব্যক্তিগত জীবন বাদ দিয়ে মেতে ছিল অভ্র ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কিংবা অভ্র এর চিন্তায়। কত কিছুই না পড়েছে, শিখেছে। ভিজুয়াল বেসিক থেকে শুরু করে ডেলফি, অ্যালগোরিদম, বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা বানান রীতি। সাথে মেডিকেল বিষয়ক চিন্তাগুলো ছিল দুঃস্বপ্নের মত"

অভ্র প্রথম রিলিজ হয় ২৬ মার্চ, ২০০৩ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে। এরপরে বেশ কয়েকটি ভার্সনে বিভিন্ন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, উন্নয়ন হয়েছে।

বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার ও ফন্টকে কুক্ষিগত করে যখন একটি মহল ব্যবসার মরণ খেলায় ব্যস্ত তখনি এগিয়ে এসেছিলেন মেহেদী হাসান খান। তিনি শুরু করলেন নতুন শ্লোগানে.... #ভাষা_হোক_উন্মুক্ত বাংলা টাইপিং এর ভিন্ন মাত্রার কিবোর্ড ও সফটওয়্যারের যাত্রা।

বাংলাভাষা আজ উন্মুক্ত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু জাতিগতভাবে আমরা উদার উন্মুক্ত হতে পারিনি। আমি পুরো জাতির পক্ষ থেকে আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি। আপনার কারণেই আজ ফেসবুকে বাংলা লিখি, অমর একুশের দিনের বাংলায় স্ট্যাটাস দি, ব্লগ লিখি। তবুও পণ্ডিতেরা বলে আপনি নাকি তাদের ক্যাটাগরির মারপ্যাঁচে একুশে পদক পা না।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আপনার কারণেই আমরা যখন অনলাইনে মাতৃভাষায় কথা বলি। আপনার কারণেই সবার মুখের ভাষা হয়ে গেছে উন্মুক্ত মাধ্যমে সবার লেখার ভাষাও। তাই অমর একুশের এই দিনে শ্রদ্ধাবনত অভিবাদন আপনাকে। স্টিভ জবস যদি সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব না হয়েও সেখানে অ্যাওয়ার্ড পান। তাহলে মেহেদী ভাইকে একুশে পদক না দেয়াটা নিছক অাদিখ্যেতা এবং বুড়ো বুড়ো অপর্দার্থদের অত্যাচারের মুখে তরুণ সমাজের ধারাবাহিক নিগৃহীত হওয়ার শামিল।

তাই তরুণ সমাজের পক্ষ থেকে মেহেদী ভাইয়ের একুশে পদক প্রদানে জোর দাবি জানাচ্ছি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আইক্লাউড লক কি? লক বাইপাস করার উপায়?

জীবনে সুখী হতে চান?

Once in a lifetime opportunity for Millennials and Generation Z of Bangladesh