অ্যাপলের ৩২ কোটি টাকার স্বর্ণের রহস্য

২০১৫ সালে শুরু হওয়া অ্যাপলের রিসাইকেল প্রোগ্রাম এতটাই সফল যে এক বছরে পুরাতন আইফোনগুলো থেকে স্বর্ণই সংগৃহীত হয়েছে প্রায় ২২০৪ পাউন্ড! যার আর্থিক বাজার মূল্য বাংলাদেশী টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ৩২ কোটি টাকা।
আইফোন-অ্যাপল-রিসাইকেলিং-প্রোগ্রাম

অ্যাপলের বার্ষিক পরিবেশ পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে গতকাল প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৫-১৬ এই এক বছরে অ্যাপলের আইফোন রিসাইকেলিং প্রোগ্রাম থেকে অ্যাপল উদ্ধার করেছে প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের ধাতু যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের আইফোনে ব্যবহার করা হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ৬০ মিলিয়ন পাউন্ডই পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। অর্থাৎ, নতুন আইফোন তৈরিতে এই পুরাতন ধাতুগুলো থেকে পাওয়া পদার্থগুলোকে নতুন সার্কিট, ডিসপ্লে, হোম বাটন, ক্যামেরার লেন্স ও বডি তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।

বিখ্যাত মডুলার মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান "ফেয়ার ফোন" এর গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী অ্যাপলের প্রতিটি আইফোনে গড়ে প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম স্বর্ণ ব্যবহৃত হয়েছে।
অ্যাপল-রিসাইকেলিং-প্রোগ্রাম

শুধু স্বর্ণের জন্য নয় বরং নতুন আইফোনের প্রোডাকশন খরচ কমাতে ও পরিবেশ রক্ষায়  গতবছর অ্যাপল শুরু করেছিল আইফোন রিসাইকেলিং প্রোগ্রাম। তাছাড়াও অ্যাপলের পুরাতন ব্যবহারকারীরাও যাতে নতুন আইফোনের স্বাদ সহজেই নিতে পারে সেদিকেও খেয়াল রেখেছিল। চারিদিক বিবেচনা করে অ্যাপল তাদের আইফোন ডিস-অ্যাসেম্বল দ্রুত ও নিখুঁতভাবে করার জন্য ইনভেস্ট করেছিল একটি রোবটের পেছনে। যার ফলাফল আজ সারা বিশ্বে আলোচিত। অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক অ্যাপলকে শুধু শক্ত অবস্থানে টিকিয়ে রাখার কাজ করছেন না, সাথে সাথে পরিবেশ সংরক্ষনেও অংশীদার হিসেবে অ্যাপলকে পরিচিত করতে চান।
স্মার্টফোন সার্কিট কিংবা কম্পিউটারের প্রসেসরে স্বর্ণ ব্যবহার নতুন কিছু নয়, দ্রুত এবং ভালভাবে বিদ্যুতের প্রবাহ সৃষ্টি করতে পারে বলেই অনেক আগে থেকেই কম্পিউটার পণ্যে স্বর্ণের ব্যবহার করা হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আইক্লাউড লক কি? লক বাইপাস করার উপায়?

ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চোরদের ব্লক করুন এক নিমিষেই

ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করবেন?