ইন্টারনেট খরচ কমাতে আইএসপিকে বিটিআরসির নোটিশ
ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেট খরচ কমিয়ে আনতে দেশের সকল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) কে নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। সম্প্রতি বিটিআরসি বাংলাদেশের সকল আইএসপি এবং ওয়াই-মাক্স প্রভাইডারকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করে,
সরকার ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথসহ ইন্টারনেট সংযোগ দিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইস এবং ক্যাবলের দাম অনেক আগেই কমিয়ে দিয়েছে, তাই এই সুবিধা ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত পাওয়া উচিৎ।
তাছাড়াও, ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ কমানো এবং সেবার মান উন্নয়নে আইএসপিগুলো কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে আইএসপি রেগুলেটর কমিশন থেকে। সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেট স্পীড বৃদ্ধির পাশপাশি খরচও কমানো হয়েছে। এদিকে টেলিকম বিশ্লেষকদের দাবি ইন্টারনেট মূল্য নির্ধারণে এধরনের কোন নিয়ন্ত্রনক নেই।
রেগুলেটর কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিটিআরসি ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে কখনই কোন উদ্যোগ নেয়নি। অপরদিকে বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানান, তাদের কাছে ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মূল্যের কোন খসড়া তালিকা নেই। তাছাড়াও তাদের কাছে এমন কোন টুলস নেই যা দিয়ে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব।
আইএসপিএবি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ) এর দেওয়া তথ্যমতে, সরকার ব্যান্ডউইথে মোট অপারেটিং খরচের শুধুমাত্র ৬ শতাংশ কমিয়েছে। আর এ থেকে তাদের ব্যয়ের ৩৫ শতাংশ যায় দুই ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেট করতে, ৩০ শতাংশ যায় কর্মচারীদের বেতনে, ২২ শতাংশ যায় বিভিন্ন স্তরের রাজস্বে এবং ৭ শতাংশ অফিস স্পেস এবং অন্যান্য খরচে। অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রেগুলেটরকে জানান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) চার্জ কমানো ছাড়া গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট খরচের কোন প্রভাব পড়বেনা। এবং সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে হলে সরকারের মূসক ও অন্যান্য কর প্রত্যাহার করা উচিত।
প্রেসিডেন্ট এম এ হাকিম আরও উল্লেখ করেন, সরকার ব্যান্ডউইথের মূল্য কমানোর পদক্ষেপ নিলেও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক চার্জ যা ২০০৯ সালে ঠিক করা হয়েছিলো তা আর কখনই সংশোধন করার কোন উদ্যোগ নেয়নি।
এম এ হাকিম ইন্টারনেটের ওপর সরকারের আরোপিত ভ্যাট নীতি বিষয়ে বলেন, প্রথম থেকেই আমরা ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছি। আজ পর্যন্ত এমন কোনও বাজেট নেই যে বাজেটের আগে আমরা সরকারকে অনুরোধ করিনি। কিন্তু কোনও এক কারণে এই ভ্যাট প্রত্যাহার হচ্ছে না। এটা সরকারের মতাদর্শ বিরোধী। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বললেও সরকার ইন্টারনেটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসিয়ে রেখেছে। যার ফলে এখনও ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার মূল্য তেমনটা কমানো সম্ভব হয়নি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন