মোটরবাইকের ইঞ্জিন অয়েল A-Z

আজেকের আলোচনার বিষয় হলো বাইকে কোন engine oil ব্যবহার কড়া ভালো বা কোন গ্রেড এর engine oil আসলেই আপানার বাইকের জন্য ভালো।
৫-৬ হাজার পর পরিবর্তন করার কথা বল্লে যারা চমকিয়ে উঠেন তাদের জন্য, আজকের পোস্ট।
আমাদের প্রথমে আগে ৩ টি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে,
১) Engine oil কি?
২ ) Engine oil এর কাজ কি?
৩) কোন গ্রেড এর Engine oil ব্যবহার করতে হবে এবং কেন?

  • প্রথমে_আমারা_জানবো_Engine_oil_জিনিস_টা_কি?
Engine_oil আমাদের বাইকের /গাড়ির engine এ ব্যবহার উপযোগী এক ধরনের পিচ্ছিল কারক পদার্থ যা engine এর মুভিং পার্টস গুলোর friction কমিয়ে moving parts গুলো কে মসৃণ ভাবে চলতে সাহায্য করে।
  • ইঞ্জিন_অয়েল_এর_কাজ_কি?
ইহা এক ধরনের পিচ্ছিল কারক পদার্থ যা engine এর moving parts গুলোর friction জনিত ক্ষয় কমিয়ে engine কে মসৃণ ভাবে চলতে সাহায্য করে। এছাড়া ও
ক) ইহা cooling agent হিসেবে কাজ করে।
খা) Engine এর মধ্যকার অযাচিত শব্দ কমাই ।
গ) মসৃণ ভাবে চতে সাহায্য করে।
ঘ) cylinder wall এবং piston এর মাঝে oil flim তৈরি করে,যার ফলে piston ,smothly উঠানামা করতে পারে।
ঙ) oil flim এর মাদ্ধমে চার্জ লিক রোধ করে।
চ) Anty wrast হিসেবে কাজ করে।
তারমানে বোঝায় যাচ্ছে Engine oil একটা engine এর জন্য কতটা গুরুত্তপুর্ন ।
  • কোন_গ্রেড_এর_Engine_oil_ব্যবহার_করতে_হবে_এবং_কেন?
কোন গ্রেড এর Engine oil ব্যবহার করতে হবে তা আপনার কাছে সংরক্ষিত owners manual এ লিপিবদ্ধ কড়া আছে।(owners manual লক্ষ করুন,ভাল service পাবেন)
এখন যদি প্রস্ন যাগে যে কোনটা ব্যবহার করবো?
20w50 নাকি 10w40 নাকি 10w30 নাকি 5w30. আসলে এই লখা দারা কি বোঝায় সেইটা জানলে বোধ হয় আরেকটুঁ ভালো হয়।
উদাহরণঃ 10w40 এই কথাটির অর্থ হল এই গ্রেডের engine oil যে কোন ঋতুতে 10 degree celcius তাপমাত্রা থেকে 40 degree celcius তাপমাত্রা পর্যন্ত তার সান্দ্রাতা/viscocity ধরে রাখতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ এয় তাপমাত্রায় engine oil তার গুনাগুন সথিকভাবে ধরে রাখতে শক্ষম।
(viscocity হলো তরলের সেই অবস্থা যে অবস্থায় তরল তার নিজ ক্ষমতায় বহমান হতে সক্ষম। আরো সহজে বলা যায় তরলের নিজ গুনে প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতা কে সান্দ্রাতা বলে)
এখন বুঝতেয় পারছেন আপনি এমন একটা গ্রেড ব্যবহার করলেন যেটা শীত কালে জমে যায়( শীত কালের তাপমাত্রা মাঝে মাঝে ১০ ডিগ্রি এর নিচেও নামতে পারে,আবার গরম কালে সেয় তাপমাত্রা কভার করে না কেননা আমাদের দেশের তাপমাত্রা মাঝে মাঝে ৪০ ডিগ্রি ও হয়ে যায়।)
এখন ডিসিশন আপনার মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ,আপনি কোন গ্রেড ব্যবহার করবেন।

এই মুহূর্তে অনেকের প্রশ্ন আসতে পারে কোন ধরনের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবো?
বাজারে মুলত ৩ ধরনের ইঞ্জিন অয়েল  পাওয়া যায় ,
যা #API(American Petroleum Institute) এবং #SAE(Society of Automotive Engineers) কর্তৃক স্বীকৃত
১) মিনারেল টাইপ ।
২) সিনথেটিক টাইপ।
৩) সেমি-সিনথেটিক টাইপ।
  • মিনারেল টাইপঃ
ভূগর্ভ থেকে যে অয়েলটা আমরা পাই সেটিকে মিনেরাল অয়েল বলে।যাকে সাধারণত ন্যাচারাল অয়েল বলা হয়। এই গুলর কণা গুলো একটুঁ বড় সাইজের হয়। এই টাইপ এর গুলো ব্যবহার করলে ৮০০-১০০০ কিঃমি পর পর পরিবর্তন করা ভাল।এতে perfomence ভালো থাকবে।
  • সিনথেটিক টাইপঃ
রাসায়নিকবিদরা ল্যাবে যে অয়েল উৎপন্ন করে
সেটি সিনথেটিক অয়েল।এটি মূলত কৃত্রিম
অয়েল। এটা বিভিন্ন বিক্রিয়ার মাধ্যমে
গবেষণাগারে তৈরী করা হয় । এই গুলর কণা গুলো একটুঁ তুলনা মুলক ছোট সাইজের হয়,জার ফলে নতুন engine এর প্রতিটা সুক্ষ কনা তে যেতে পারে। আই টাইপ নিয়মিত ব্যবহার করলে engine এর perfomence অনেক ভালো থাকে। এই গুলো একবারে ৫-৬ হাজার কিঃমি চোখ বুঝে ব্যবহার করা যায়,এবং ইঞ্জিন perfomence ও স্মুথনেস অটুট রাখে।
  • সেমি- সিনথেটিক টাইপঃ
মিনেরাল এবং সিনথেটিক অয়েলের মিশ্রণকে
সেমি- সিনথেটিক টাইপ বলে। মিনারেলের তুলনায় এটি ভালো
এখন কোনটি ব্যবহার করবেন আপনার বাইকে? 


সতর্কতা:

প্রয়োজনের অতিরিক্ত/কম পরিমানে ঢালবেন না।ঠিক যতটুকু দরকার ততোটুকুইই ঢালবেন।

মিনারেল অয়েলের সাথে সিনথেটিক অথবা সেমি- সিনথেটিক অয়েল মিশানো যাবেনা ।
আপনি আপনার বাইকে ইন্জিন অয়েল পরিবর্তন করার জন্য বছরে অন্তত একবার ইনিজ্ন অয়েল
ব্যাবহারের আগে ফ্লাসিং অয়েল ব্যাবহার করতে পারেন । অবশ্য এটা আপনি বছরে মোট কত কিলোমিটার বাইক রাইড করছেন এটার উপরেও নির্ভর করে । তবে কার্বন পরিস্কার করার জন্য
ফ্লাসিং অয়েলের পরিবর্তে কখনও ভুল করেও কেরোসিন বা ডিজেল বা পেট্রোল ব্যাবহার
করবেন না ।এটা বাইকের ইন্জিনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে । নতুন গ্রেড 
অয়েলে কার্বন কণা দূরিকরণের জন্য পুরাতন গ্রেড থেকে ভালো পরিষ্কারক আছে ।সুতরাং
পুরাতন গ্রেড থেকে নতুন গ্রেড ব্যবহার করা ভালো।কখনো গাড়ির ইঞ্জিন অয়েল বাইকে ব্যবহার করা যাবে না।

বিঃদ্রঃ Owners Manual দেখে recommended engine oil ব্যবহার করাই ভাল,তাতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।আপনার নিকটবর্তী ম্যনুয়ালে ১০ হাজার। কি:মি পর পর engine oil পরিবর্তন করার কথা উল্লেখ আছে।
মিনারেল টাইপ ব্যবহার করলে ১০০০ কিঃমি পর পর পরিবর্তন করা ভাল।এতে perfomence ভালো থাকবে।
(এই গুলোর বাজার মূল্য মুলত ৩০০-৫৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।)
সিনথেটিক টাইপ ব্যবহার করলে ৫-৬ হাজার কিঃমি চোখ বুঝে ব্যবহার কড়া জায়,এবং perfomence অটুট রেখে।
(এই গুলোর বাজার মূল্য মুলত ১১০০-১৪৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।)
সবশেষে ভালো থাকুক আপনার বাইক সাথে আপনিও ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আইক্লাউড লক কি? লক বাইপাস করার উপায়?

ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চোরদের ব্লক করুন এক নিমিষেই

ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করবেন?