দারাজ অনলাইন শপ খোলার আগের কিছু কথা
২০১৯, দুপুর ১২ঃ৫০, ক্লাশ শেষ করেই কোনমতে চার-পাঁচ চামচ ভাত মুখে দিতে দিতেই ট্রিপ রিকুয়েস্ট। বাম হাতে কলটা করেই,
ভাই কই যাবেন?
ভাই কাঁটাবন, যাবেন আপনি?
(একটু ভেবে, পরে আবার ২ঃ৪০ এর আগে ট্রিপ নাও পেতে পারি ঐদিকের, তেল ভরাও হবে আবার বাসার দিকের ট্রিপ তো পাবোই একটা না একটা) জি ভাই যাব, আমাকে ৫-৮ মিনিট সময় দেন আসতেসি।
রাস্তা ফাঁকাই ছিল, ১ঃ৪৫ পৌঁছে গেলাম। তেল ভরে অ্যাপসে গুতাগুতি করে কাটালাম ২০ মিনিট। রোদে ভাল্লাগেনা দাঁড়িয়ে থাকতে, ভাবলাম কি করার পাঠাও ফুড অন করি। দেখি ফুডে কি অবস্থা, কিভাবে কি করে, আবার সাথে কিছু বোনাসও আছে।
ভাই কই যাবেন?
ভাই কাঁটাবন, যাবেন আপনি?
(একটু ভেবে, পরে আবার ২ঃ৪০ এর আগে ট্রিপ নাও পেতে পারি ঐদিকের, তেল ভরাও হবে আবার বাসার দিকের ট্রিপ তো পাবোই একটা না একটা) জি ভাই যাব, আমাকে ৫-৮ মিনিট সময় দেন আসতেসি।
রাস্তা ফাঁকাই ছিল, ১ঃ৪৫ পৌঁছে গেলাম। তেল ভরে অ্যাপসে গুতাগুতি করে কাটালাম ২০ মিনিট। রোদে ভাল্লাগেনা দাঁড়িয়ে থাকতে, ভাবলাম কি করার পাঠাও ফুড অন করি। দেখি ফুডে কি অবস্থা, কিভাবে কি করে, আবার সাথে কিছু বোনাসও আছে।
কিছুক্ষন পর একটা অর্ডার পাই, যার ডেলিভারি ছিল ঢাবির কবি জসিম উদ্দিন হলে। প্রথমবার ফুড ডেলিভারি একটু নার্ভাস ছিলাম, সব কিছু ঠিকঠাক আনলাম কিনা নাকি ঝোল তরকারি পড়ে একাকার হয়ে গেল। কাস্টমারের কথামত একদম হলের রুমে ঢুকে টেবিলের উপর ডেলিভারি দিয়ে আসি। তবে, খুব আন্তরিক ছিলেন। পরীক্ষা ছিল বলে মনে হয়, পড়তেছিলেন বেশ মনোযোগ দিয়ে।
ব্যপারটা এমন ছিল না যে পাঠাও/উবার চালিয়ে আমি জীবিকা বা সেমিস্টার ফি চালাই। বা এগুলা ছাড়া আমার হাত খরচ চালানোর কোন উপায় নেই।
এখনও হয়তো অনেক বন্ধু এবং আশে-পাশের মানুষের ধারনা, এনএসইউ এর কুল ডুড। বাপের মাল্লু আছে, তাই অনলাইনে এখনই ছোট একটা ব্যবসা করে। আসলে, একটা অনলাইন ছোট একটা শপ দাড়া করাতে চেয়েছিলাম বলেই এইরকম খাটুনি খেটেছি।
ভাইরে, অনলাইন ব্যবসা মুদির দোকানের মত না যে ভালো জায়গায় কয়টা মাল নিয়া বসলেন আর বিক্রি হবে। পাঠাও উবার চালিয়ে তো রাতে জিম করতাম আবার ঠিকমতো ঘুমাতামও। কিন্তু অনলাইন বিক্রির সুবাদে ২০১৯ এর অক্টোবর থেকে এই জুন ২০২০ পর্যন্ত কয়দিন ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমাইসি মনে নাই। জিম তো বাদই।
অনলাইনে আম-জাম বেচা এতো সোজা না, ভাইরে যারা অন্যদের এই আম বিজনেস নিয়া সমালোচনা করতেসেন, পরিচিত মানুষজনরে ইনবক্স করা ছাড়া ৫০ কেজি আম বেঁচে দেখেন কেমন লাগে।
ট্রল্গুলা একটু বেশি বেশি জমায় রাখেন, কয়েক বছর পর এইসব আম-জাম, মাস্ক ব্যবসায়ীর কাছে সিভি জমা দিবেন তখন অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজে লাগতেও পারে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন