ফেসবুকে অ্যাড দেওয়ার আগে দেখে নিন

  ফেসবুক অ্যাড দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানা জরুরী 



বেশি অর্ডার পেতে বেশি লোকেশন নির্বাচন করার দরকার নেই
এই অ্যাডের লোকেশন ছিলো শুধুমাত্র ঢাকা নির্ভর, ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর ইত্যাদি এলাকায়ও কাভার করা হয় নি। কিন্তু ৪ ডলারে ম্যাসেজ এসেছে ৪০টার বেশি, এই মুহূর্তে CPC ৯ সেন্টের মত। আর কম বাজেটের অ্যাডে আপনি যখন অনেক জায়গা জুড়ে অ্যাড চালাবেন তখন ফেসবুক সেটা ভাগ করে ফেলবে এবং দেখা যাবে প্রতিটা এলাকায় রিচের পরিমান হবে অনেক কম। তাই বাজেটের উপর লোকেশন টা ব্যালেন্স করে টার্গেট করা গুরুত্বপূর্ণ
অ্যাড প্রথম দিকে পারফর্ম না করলে বারবার এডিট করার দরকার নেই
উপরে একবার লেখেছি, যখন এই অ্যাডটাতে একটা ম্যাসেজ ও নাই, ১ ডলার খরচ হয়ে গেছে তখন এডিটের চিন্তা করেও বাদ দিয়েছি, এডিট করি নাই, ফেসবুক অ্যাডকে সময় দিতে হবে আপনার টার্গেট চেনার জন্য, বারবার এডিট করলে ফেসবুক বারবার সময় নিবে, এতে আপনারই ক্ষতি।
এরকম অবস্থায় CPC রেট প্রথমে বেশি থাকে তাই CPC রেট বেশি দেখে অ্যাড বন্ধ করা ঠিক হবে না
প্রথম ১ টা ২ টা ম্যাসেজ যখন আসলো CPC রেট অনেক বেশি ছিলো ৫০-৬০ সেন্টের মত। এরপর সময়ের সাথে সাথে যখন আপনার ম্যাসেজ আসতে থাকলো তখন CPC রেট কমে গেলো, কমতে কমতে এখন চলছে ৯ সেন্ট করে, যেটা শুরু হয়েছিলো প্রায় ১ ডলার প্রতি ম্যাসেজে। তাই CPC রেট বেশি থাকলেই অ্যাড বন্ধ করা উচিৎ হবে না।
কন্টেন্ট হলো রাজা ( Content is the king)
একটা কথা আছে content is the king, এটার প্রমান আমি সব সময়ই পেয়েছি এবারো পেয়েছি, প্রথমে ছবির মান যখন ছিলো মোটামুটি তখন রেস্পন্স ছিলো কম, যখনই ছবিকে আকর্ষণীয় করা হলো, সেল বুস্ট করলো, বুঝতেই পারছেন এটা গুরুত্বপূর্ণ, ফেসবুকে যখন লক্ষ লক্ষ প্রোডাক্ট ঘুরে বেড়ায় সেখানে আপনার প্রোডাক্ট এর ছবি আকর্ষণীয় হওয়াটা কতটা জরুরি।
শুধু ছবিই না, ছবির সাথে প্রোডাক্ট এর যে ইনফরমেশন সেগুলিও জরুরি, অনেকে বলে ইনবক্সে শুধু প্রাইস জানতে চায় মানুষ জন, এখন আপনি যদি কন্টেন্টে প্রাইস না দেন প্রাইস তো জানতে চাইবেই এবং দেখা গেলো আপনার প্রোডাক্ট এর দাম ৫০০০, আর যে প্রাইস জানতে চাইলো তার বাজেট ১০০০ কিন্তু সে তো জানে না যে প্রোডাক্ট এর দাম ৫০০০ তাই সে জানতে চাচ্ছে, কন্টেন্টে প্রাইস লেখা থাকলে প্রাইস কত ম্যাসেজ কমে যাবে এটা বলাই যায়। তবে অনেকে বিভিন্ন কারনে প্রাইস পাবলিক করতে চায় না, সেটা আলাদা ব্যাপার তবে এই ক্ষেত্রে প্রাইস কত, প্রাইস কত এই ম্যাসেজগুলা সহ্য করতে হবে।
ইউনিক প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করা
আগেও অনেক লেখায় লিখেছি প্রোডাক্ট ইউনিক রাখেন, প্রোডাক্ট এর ধরন যদি এক রকম হয় তাহলে ডিজাইন ইউনিক রাখেন, এখানে যে মিষ্টির বিজনেস করছে সে বিজনেস প্ল্যানই করেছে যখন দেখেছে মিষ্টির স্বাদ অনেক ভালো কিন্তু ঢাকাইয় সেটা খুব বেশি পাওয়া যায় না। যে প্রোডাক্ট টা পাশে দোকানে পাওয়া যায় সেটা কেন অনলাইনে কিনবে মানুষ সেখানেও একটা কথা থেকে যায়। তাই ইউনিক প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন অথবা ইউনিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন, ভালো ফলাফল পাবেন।
কোন রকম বট তৈরি না করে ম্যানুয়ালি উত্তর দেয়া
আপনি যতই বট তৈরি করেন ততই সেটা রবোটিক হবে, চিন্তা করতে পারেন বটের উত্তর এমন ভাবে দিবো যে ধরতেই পারবে না বট উত্তর দিয়েছে, এখন কেউ প্রশ্ন করার ১ সেকেন্ডের মাথায় যখন দুই লাইনের উত্তর তার ইনবক্সে চলে যায় তখন কি সে বুঝে না এটা কোন মানুষ না মেশিন উত্তর দিচ্ছে, আমার কিন্তু মনে হয় ভালো করেই বুঝে, তাই খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বট ব্যবহার না করে নিজে নিজে উত্তর দেন, সময় ইনভেস্ট করেন যেটা জরুরি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আইক্লাউড লক কি? লক বাইপাস করার উপায়?

NSU MGT 314 (Supply Chain/ Production Management), Few Questions and answers

ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চোরদের ব্লক করুন এক নিমিষেই