ইভ্যালির নতুন চমক, সাইক্লোন বুড়ি
সে অনেক দিন আগের কথা। এক জঙ্গলে এক বুড়িমা বাস করত। প্রতিদিন রান্নার সময় আগুন জ্বালানোটা তার জন্য কঠিন হয়ে যেতো। কারণ তখনতো আর ম্যাচের কাঠি ছিল না। পাথর ঘষে ঘষে আগুন জ্বালাতে হতো।
একদিন আকাশ কালো করে সাইক্লোন শুরু হলো। সাইক্লোনে সব ভিজে নেয়ে একাকার। বুড়ি রান্নার জন্য পাথর ঘষছে, অমনি পাথর থেকে ধোয়া বেরোতে থাকল। হাজির হলো মস্ত এক জ্বীন।
আসলে ওটা পাথর ছিল না। ওটা ছিল ইভ্যালি নামক চেরাগ। জ্বীন হু হা হা করে হেসে বলল, আমি এই চেরাগের জ্বীন রাসেল। বুড়ি মা তোর কি লাগবে বল।
বুড়ি বলল, প্রতিদিন আমার আগুন জ্বালাতে অনেক কষ্ট হয়। কিছু একটা ব্যবস্থা যদি করা যায়।
জ্বীন হাসতে হাসতে বলল, এটা আমর জন্য কোন ঘটনা-ই না। আমি তোমার জন্য ওভেনের ব্যবস্থা করছি। তবে দিনকালতো আর আগের মতো নেই। কিছু একটা আনতে গেলে সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হয়, আরো কত খরচ, দুনিয়ার ঝামেলা। তোমাকেতো পে করতে হবে।
বুড়ি অমনি কাপড়ের আঁচল থেকে যা ছিল সব দিয়ে দিল। জ্বীন ওভেন আনতে চলে গেলো।
দিন যায়, মাস যায়, জ্বীন আর আসে না। এদিকে বুড়ি অপেক্ষা করতে করতে বুড়ি থেকে বুড়ি প্রো হয়ে যাচ্ছে। বুড়ি, পাতার মধ্যে অর্ডার নাম্বার লিখে চেরাগের ভেতর ফেলে দিল। সেখান থেকে রিপ্লাই আসে "আমরা আপনার ইস্যুটি নিয়ে কাজ করছি। শীঘ্রই পেয়ে যাবেন।"
অপেক্ষা আর শেষ হয় না। এদিকে জ্বীন, নতুন নতুন অফার দিয়ে যাচ্ছে। গত রাতেও তরুনদের নিয়ে সাইক্লোন ঘটিয়েছে। প্রোডাক্টও ডেলিভারি দিচ্ছে। কিন্তু ভুলে গেছে শুধু বুড়িকে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন