পাঁচশো মিলিলিটার বেলুনে জীবন!
বছর তিনেক আগে খুব কাছের এক বন্ধুর উপর রাগ করেছিলাম, খুবই সামান্য বিষয়ে। প্রতিদিনই দুজনের দেখা হতো , কিন্তু ! কি জানি কি মনে করে আমরা কেওই কারো সাথে কথা বলতাম না ।
একদিন বন্ধু মুচকি হেসে বললো - ' কিরে ! কেমন আছিস ? ' আমি সেদিন অহেতুক একটু পার্ট নিয়ে নিয়েছিলাম , উত্তর দেইনি আর । ভেবেছিলাম দুএকদিন পর ঠিক করে নেবো l
বন্ধু আমার দুদিন পরই বাইক এক্সিডেন্টে মারা গেলো ! সুযোগ দিলোনা আমাকে। আমার আর ঠিক করা হলো না বন্ধুত্বটা। বিষয়টা আজও আমায় গভীর ভাবে নাড়া দেয় ! নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনা l চোখ বন্ধ করলেই মনে হয় , বন্ধু আমার মুচকি হেসে বলছে - ' সেদিন একটু কথা বললে তোর কি খুব ক্ষতি হতো ? মানুষের জীবন আর কচুপাতার পানির মধ্যে বিশেষ কোনো তফাৎ নেই ।
ক্ষণস্হায়ী জীবনে মান অভিমানগুলোও পুষে রাখাটা বোকামী। হঠাৎ করে কখন যে কে কাকে বিবেকের কাছে অপরাধী করে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করবে বলা মুশকিল।
যতোক্ষণ পর্যন্ত সুযোগ আছে ততোক্ষণ পর্যন্ত ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত l
নিজেকে বাহাদুর বা সুপেরিয়র ভাবার কোনো কারণ আদৌ নেই, মানব ফুসফুস আর বেলুনের মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্যও নেই। দুটোতেই বাতাস থাকে, আনুমানিক পাঁচশো মিলিলিটার।
বাতাস কে তো ধরে রাখা যায়না। বায়বীয় পদার্থ , উড়ে যায়, উড়ে যাবেই !
মাত্র পাঁচশো মিলিলিটার বাতাসের গর্বিত মালিক হয়ে ভাব নেয়াটা আসলেই ব্যাপক মূর্খতা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন