NSU ক্যাম্পাস, বন্ধুত্ব
গতবছর পনেরো মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণার এক দুইদিনের ভেতরেই সবাই তড়িঘড়ি করে আস্ত একটা জীবন ক্যাম্পাসগুলাতে ফেলে বাড়ি চলে আসে। এরপরের অনির্দিষ্ট- অনিশ্চিত সময়টাতে আগের সেই জীবন ধীরেধীরে বদলাতে থাকে। সামাজিক দূরত্ব কিভাবে জানি অনেক মানুষের সম্পর্কের দূরত্ব হয়ে যায়। বন্ধুত্ব- প্রেম- বন্ধুবৃত্ত সবকিছুতেই।
ঠিক ঠিক একবছর পর আজকে যদি সবাইকে গতবছর এই দিনের জায়গাটায় দাঁড় করায়ে দেয়া হয়, দেখা যাবে অনেককিছুই অন্যরকম। বসুন্ধরা গেট থেকে nsu অব্ধি যাওয়ার গল্প ভিন্ন, ঘটপার থেকে 300 ফিট রিকশায় আসার সঙ্গী ভিন্ন। মানুষের জায়গা দখল করবে অন্য মানুষ। কেউ হবে একদম একা! মানুষ কখনোই বুঝে উঠতে পারেনা কোনটা কিসের শেষ মুহূর্ত ছিল। যদি ঘুনাক্ষরেও টের পেতো এরপর এই মানুষগুলোর সাথে সবকিছু বদলে যাবে, তাহলে হয়তো শেষ দেখায় দ্রুত ঘরে ফেরার তাগিদ থাকতোনা।
হয়তো ফুটপাত দিয়ে হাঁটার গতি কমতো, রিকশাওয়ালাকে বলা যেতো, “একটু ধীরে, আমাদের তাড়া নাই”।
আবার হয়তো কোনোকিছু না করে সেইদিনের কোনো স্মৃতিই রাখা হতোনা। কারণ এরপর থেকে এগুলোর মানে থাকবেনা। হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাবে যা, তা কেউ ক্যানো রাখবে?
আমাদের যে দিন যায়, তা একেবারেই যায়। কিছুই বাকি থাকেনা!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন