পোস্টগুলি

বাংলাদেশে স্যানেটারি প্যাড লাক্সারি কেন?

যে সমাজে উত্তম পাত্র হওয়ার জন্য হতে হয় বিসিএস ক্যাডার, সরকারি চাকুরীজীবী কিংবা বড় কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকুরীজীবী হতে হয় সে সমাজে স্যানেটারি প্যাড লাক্সারি হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। ভারতে অনেক বিদেশি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তাদের টিকিয়ে রাখতে পারিনি ভারতীয় লোকাল ব্র্যান্ডগুলোর দাপটে। টিকিয়ে রাখতে হলেও ভালো সার্ভিস এবং প্রোডাক্ট দিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে, ঘরে ঘরে উদ্যোক্তা, কম্পিটিশন। ফলাফল, দামে কম মানে ভালো জিনিষ কিনতে লাখ লাখ বাংলাদেশী প্রতি বছর ভিড় জমায়!  সমাজের আর কি দোষ দিব, পলিসি মেকাররাই এদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা তৈরি হতে দেয়না। এইতো কিছুদিন আগে যে বাজেট পাস হল তাতে মূল সুবিধা কারা পেল? যারা বিদেশ থেকে পার্টস এনে দেশে জোড়া লাগায় আর বুলি আওড়ায় দেশিও ব্র্যান্ড! তাদের ট্যাক্স মৌকুফ । অথচ এতো বাধা বিপত্তি পেরিয়ে যে যুবক গ্রামের কৃষক থেকে সরিষা সংগ্রহ করে ঘানি ভাঙা সরিষার তেল ফেসবুকে বিক্রির চেষ্টা করছে তার বিজ্ঞাপনের উপরই ৩০% ভ্যাট বসিয়ে দিলেন। যে মেয়েটা নিজের হাতে কারুকাজ করা কাপড়ের ব্রান্ড তৈরি করতে চাচ্ছে তার অনলাইন ব্যবসায়ের জন্য ট্রেড লাইসেন্স নিতে লাগবে দোক...

আমেরিকার নেভি সিলদের এক বিশেষ ট্রেনিং

 আমেরিকার নেভি সিলদের ট্রেনিংয়ের একটা গল্প বলি, যাকে নেভি সিলরা বলে ডাউনপ্রুফিং। নেভিদের জন্য নাকি খুবই সহজ একটি ট্রেনিং কিন্তু এতে নাকি মৃত্যুর রেকর্ডও আছে!   তো কি করা হয় এই ডাউনপ্রুফিংয়ে?  খুবই সহজ বলা যেতে পারে, আপনাকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মাত্র ১২-১৫ ফুটের একটা চৌবাচ্চায় নামিয়ে দিবে, আপনার কাজ হচ্ছে এই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উপরে ভেসে উঠা। যাদের পানির মধ্যেই জীবন এমন একজন মানুষের কাছে নিশ্চয়ই মামুলি ব্যাপার হবে এই ১২-১৫ ফুটের চৌবাচ্চায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ভেসে উঠা। এমনটাই তো হবার কথা তাইনা।  কিন্তু বেশিরভাগ নেভি সিল এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়না, কেউ সাপোর্ট দরির মাধ্যমে ফিরে আসে, কেউ জ্ঞান হারায়, কেউ কেউ আবার অক্সিজেন অতিরিক্ত খরচ করে ফেলায় মারাও যায়!  সাভাবিকভাবেই বেশিরভাগ সিলরা যে ভুলটা করে সেটা হচ্ছে উপরে ভেসে উঠার চেষ্টা! বলেছেই তো ভেসে উঠতে তাহলে ভেসে উঠার চেষ্টা করবো না! না, আপনি যতই চেষ্টা করেন না কেন উপরে উঠার জন্য যে মমেন্টাম প্রয়োজন তা আপনি হাত পা বাঁধা অবস্থায় পানির মধ্যে তৈরি করতে পারবেন না। আপনি যতই চেষ্টা করবেন ততই আপনার জমিয়ে রাখা অক্সিজেন খ...

জীবনে সুখী হতে চান?

যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় আপনি কীরকম জীবন চান?   ভালো চাকুরী, ভালো পরিবার এবং সুখী জীবন। উত্তরটা এমন হওয়াটাই কিন্তু স্বাভাবিক।   আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় জীবনে আপনি কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে চান?  ভাবুন তো, কি উত্তর দিবেন।   কি, উত্তরের জন্য মোটেও প্রস্তুত নয় বলে মনে হচ্ছে!   তাহলে কিন্তু আপনি আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নেরই উত্তর এখনও খুঁজে পাননি।   আপনি কি ভালো চাকুরী/আর্থিক স্বাধীনতা চান? আপনাকে সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টা বেশিও সময় দিতে হতে পারে, রাতের পর রাত জেগে কাজ করা লাগতে পারে। বিশাল বিশাল প্রোজেক্ট একাই সামলাতে হতে পারে, কর্মঘণ্টা শেষেও কাজ করা লাগতে পারে। একের অধিক ব্যবসা পরিচালনা করতে হতে পারে। মিটিংয়ে যেতে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকা লাগতে পারে। এসবের জন্য আপনি প্রস্তুত তো?  জীবনে কোন কিছু চাওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করবেন আপনি সেটা পাওয়ার জন্য কি সেক্রিফাইস করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তাহলে দেখবেন কাজে গতি আসবে  Happiness requires struggle.

মোটিভেশন না হ্যাবিট কোনটি গুরুত্বপূর্ণ?

মোটিভেশন দিয়ে আসলে জীবনকে বদলানো যায়না। মোটিভেটেড আপনি ১ দিন, দুই দিন, তিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন কিন্তু চতুর্থ বা তার পরের দিন আপনি আপনার হেবিটে ফিরে আসবেন। বায়োলজিকাল কারনেই মানুষ আসলে অভ্যাসের দাশ।   কিন্তু বিধাতা আমাদেরকে বানিয়েছে সৃষ্টির সেরা জীব, তাই অভ্যাসের দাশ না হয়ে অভ্যাসকে নিজের দাসে পরিনত করার জন্য রয়েছে জগতখ্যাত দুটি বই  1. The Power of Habit (এটা প্রথমে পড়ার সাজেস্ট থাকবে কারন এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন আমাদের জীবনে অভ্যাসগুলো কিভাবে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রন করে)  বইটি সেরা মূল্যে আমি পেয়েছি দারাজের এই ষ্টোর থেকে- Daraz 2. Atomic Habits - James Clear (অভ্যাসকে কিভাবে নিজের দাসে পরিনত করবেন তার সকল ফর্মুলা পাবেন এই বইটিতে, জীবনে লক্ষ্য সেট করা যে কত বড় ভুল এবং লক্ষ্য সেট না করে কাজ করাই ভালো তারও বিস্তারিত পাবেন এই বইটিতে ) বইটি সেরা মূল্যে আমি পেয়েছি দারাজের এই ষ্টোর থেকে-  Daraz

Daraz Seller কেন এই ফাঁদে পা দিবেন না

ছবি
আমার দারাজে সেলার হিসেবে বয়স প্রায় ২ বছরের মত, যদিও এখন সেলার একাউন্ট এ সেল বন্ধ রেখেছি। কিছুদিন আগে একজন ব্যক্তি দারাজের সেলার হবার জন্য আমার অভিজ্ঞতা ও কেমন লাভ করেছি জানতে চেয়েছিল। বিনিময়ে আমি আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে উত্তর দিয়েছি অনেকটা এরকম...  "ভাই আপনার লাভ সব দারাজ কোন দিক দিয়ে খেয়ে ফেলেছে বুজবেন ও না, ৬ মাস পরে দেখবেন আপনার পুঁজি প্রায় ৫-১০% নাই। দারাজের কমিশন প্রায় ক্ষেত্র বিশেষে ১০-১৫% + পেমেন্ট প্রসেসিং ফি ১% + ভ্যাট প্রায় ১% + প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়ালস কিনতে যাবে প্রায় ২-৪% + ক্যারিং চার্জ ১-২% যেটা আপনাকে দারাজ Hub গিয়ে জমা দিতে খরচ হবে, এই গেল ১৫-১৯%। নানা এখানেই শেষ না "পিকচার আভি বাকি হ্যাঁ মেরা দোস্ত" ভাল দিক না শুনেই যাবেন নাকি।  প্রথমত বিদেশ ভ্রমনের প্রাক অভিজ্ঞতা হবে, ধরুন এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে পণ্য জমা দিতে গিয়ে আপনার মনে হবে আপনি ইন্ডিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করছেন, দ্বিতীয়ত পণ্য জমা দিতে গিয়ে বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ঈদের আগে বাস বা ট্রেনের টিকেট কাটার আমেজ পাবেন, তৃতীয়ত ছোট বেলার লুকোচুরি খেলার অভিজ্ঞতা হবে COD অর্ডারের কাস্টমার পণ্য রিটার্ন আসা যাওয়া নিয়ে, চতুর্...

দারাজ যেভাবে আদর করে আপনাকে সেলার বানাবে

প্রথমে দারাজ আপনাকে ০% কমিশনসহ লাখ লাখ টাকার বিক্রি বলে খুব আদর করেই সেলার বানাবে।  এরপর দুইদিন পর পর সেলারদের ওপর এই ফিস ওই ফি জুড়ে দেয়,প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়ালস এর দাম করলো ডাবল,আবার পেমেন্ট প্রসেসিং ফিস, হাবে গেলে দেখবেন বেশিরভাগ সময় প্যাক করার ছোট পলি নেই বেশি দাম দিয়ে বড় পলি কিনতে বাধ্য করবে এই সেই ভক্কর চক্কর নিত্য নতুন কাহিনী আছেই।   আর দারাজ মোটেই সেলার বান্ধব নয়,কাস্টমার বান্ধব বলা যেতে পারে। কারণ এখানে ১০০ টার ভেতর ৪০ টা প্রডাক্ট রিটার্ন আসবেই কোন সমস্যা থাক বা না থাক। যেগুলা রিটার্ন আসবে দেখা যাবে কাস্টমার অন্য কোন কিছু ভরে পাঠিয়ে দিবে অথবা প্রডাক্ট প্যাকেজের অবস্থা যাচ্ছেতাই। এতোকিছুর পরও দারাজ এতোবছর ধরে QC check চালু করেনাই ইচ্ছা করেই,কারণ লস যা যাবে সেলারের যাবে লাভ যা করার আমরাই করবো এমন মন মানসিকতার, আর স্বজপৃতী যে কতো আছে এটা আর কি বলবো।

ইভ্যালির ভেলকি?

সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট কি?  মূল সরবরাহকারী ছোট কোন সরবরাহকারীকে বাকিতে মালামাল দেয়। তার বিনিময়ে সে চেক রাখে বা কোন গ্যারান্টি রাখে বা সরল বিশ্বাসেও দিয়ে দেয়।  একসময় আমাদের কম্পিউটার মার্কেটে বড় বড় ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট দোকানের মালিকদের সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট দিতেন। এরপর শুরু হলো চেক রেখে মাল দেয়া। তারপর নানাভাবে গ্যারান্টি নিয়ে মালামাল দেয়া হতো। অনেক ব্যবসায়ী যে দামে মাল নিতেন তার চেয়ে কমদামে বেচে দিয়ে দোকান সহ লাটে তুলতেন। এর কারণ হলো সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট যাকে দেয়া হচ্ছে তার কোন ক্রেডিট রিস্ক অ্যানালাইসিস থাকতো না। বড় ব্যবসায়ীরা গাট ফিলিং থেকে এই ক্রেডিট দিতেন ও চেক নিতেন। অনেক দেনাদার ছোট ব্যবসায়ী যেটা করতো সেটা হলো বহুদিন ভালো লেনদেন রেখে নিজের দেনা বাড়িয়ে হঠাৎ লালবাতি জ্বালাতো। একসময় এমন হয়েছিলো যে কম্পিউটার সমিতির কর্তাব্যক্তিদের বিরাট একটা সময় কাটতো শালিস বিচার করে করে।  বড় ব্যবসায়ীরা এই বাকি দিতো ব্যাংক থেকে সিসি নিয়ে। ফলে দিনের শেষে ব্যাংক বিপদে পড়তো। এরপর ব্যাংক নিজের গুদামে মাল রেখে দিতে শুরু করলো। আমাদের সব ব্যবসা এভাবে বিপদে পড়ে কারণ আমরা সমস্যার পরে নিয়ম বানাই। আগে...